বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্: ভিসা, হোটেল ও খরচের সম্পূর্ণ গাইড

Blog Details
বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্: ভিসা, হোটেল ও খরচের সম্পূর্ণ গাইড

 মক্কা শরীফে ওমরাহ্‌ পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ের এক গভীর স্বপ্ন। এই পবিত্র যাত্রা আধ্যাত্মিক শান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অপূর্ব সুযোগ। তবে এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো ওমরাহ্‌ ই-ভিসা সংগ্রহ। বাংলাদেশ থেকে ই-ভিসা প্রক্রিয়া, বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া-গাইডিং-এর খরচ এবং মোট খরচ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে।

এখানে আমরা বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্‌ ই-ভিসার প্রক্রিয়া, Nusuk অ্যাপের ব্যবহার, বিমান ভাড়া, হোটেল, খাবার ও গাইডিং-এর আপডেটেড খরচ, মোট খরচের হিসাব এবং কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর সহজ ভাষায় তুলে ধরেছি। চলুন, আপনার ওমরাহ্‌ যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করি!

ওমরাহ্‌ ভিসা-

ওমরাহ্‌ ভিসা হলো একটি ডিজিটাল ধর্মীয় ভিসা, যা মুসলিমরা সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ্‌ ইবাদত পালনের জন্য গ্রহণ করেন। এটি QR কোড-সহ একটি ডিজিটাল ডকুমেন্ট, যা পাসপোর্টে স্টিকারের প্রয়োজন ছাড়াই বিমানবন্দরে দেখানো যায়। হজের মতো ওমরাহ্‌ বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। বছরের যেকোনো সময় (হজ মৌসুম ছাড়া) ওমরাহ্‌ করা যায়।

হজ ভিসা বনাম ওমরাহ্‌ ভিসা:

  • হজ ভিসা: শুধুমাত্র হজের জন্য, বছরে একবার নির্দিষ্ট সময়ে ইস্যু হয়।
  • ওমরাহ্‌ ই-ভিসা: হজ মৌসুম ছাড়া যেকোনো সময় পাওয়া যায় এবং একাধিকবার আবেদন করা সম্ভব (নিয়ম মেনে)।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্‌ ই-ভিসার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • পাসপোর্ট:
    • কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
    • মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) ba ব ই-পাসপোর্ট।
  • ছবি:
    • Nusuk app এর মাধ্যমে  ডিজিটাল ছবি/সেলফি নেয়া হবে ।
    • নারীদের হিজাব পরা ছবি গ্রহণযোগ্য, পুরুষদের মাথা খোলা রাখতে হবে।
  • ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট:
    • মেনিনজাইটিস টিকা: বাধ্যতামূলক, আগমনের কমপক্ষে ১০ দিন আগে নিতে হবে।
    • কোভিড-১৯ টিকা: ২০২৩ থেকে বাধ্যতামূলক নয়, তবে সুপারিশকৃত।
    • ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন:
    • Nusuk অ্যাপে আঙুলের ছাপ ও আইরিস স্ক্যান জমা দিতে হয়।
    • এজেন্সি বা নিজে অ্যাপের মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করতে পারেন।

ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

 

বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্‌ ই-ভিসার জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া Nusuk অ্যাপ বা ওয়েবসাইট (nusuk.sa) এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সরাসরি আবেদন সম্ভব নয়, তবে সৌদি-অনুমোদিত হজ ও ওমরাহ্‌ এজেন্সির মাধ্যমে Nusuk প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আবেদন করতে হয়। ধাপগুলো হলো:

  • Nusuk অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন:
    • Nusuk অ্যাপ ডাউনলোড করুন (Google Play বা App Store থেকে)।
    • ইমেইল, পাসওয়ার্ড, এবং ব্যক্তিগত তথ্য (পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয়তা, জন্ম তারিখ) দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
    • মোবাইল নম্বরে OTP (One-Time Password) যাচাই করুন।
  • বিশ্বস্ত এজেন্সি নির্বাচন:
    • বাংলাদেশ হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন (হাব) থেকে অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিন।
    • Nusuk অ্যাপে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদনের জন্য অপশন নির্বাচন করুন।
  • কাগজপত্র আপলোড:
    • পাসপোর্ট, ছবি, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট, এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের ডিজিটাল কপি Nusuk অ্যাপে আপলোড করুন।
    • এজেন্সি এই ডকুমেন্ট যাচাই করবে।
  • ফি পরিশোধ:
    • ভিসা ফি, বীমা ফি, এবং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ অনলাইনে পরিশোধ করুন (ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং) বা সরাসরি এজেন্সিতে গিয়েও এই ফি দিতে পারবেন।
  • বায়োমেট্রিক ইনরোলমেন্ট:
    • Nusuk অ্যাপে সেলফি-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক দিতে হবে।
  • ই-ভিসা ইস্যু:
    • আবেদন অনুমোদিত হলে, QR কোড-সহ ই-ভিসা Nusuk অ্যাপে বা ইমেইলে পাওয়া যাবে।
    • ই-ভিসা প্রিন্ট বা ডিজিটাল কপি বিমানবন্দরে দেখাতে হবে।
  • ওমরাহ্‌ পারমিট বুকিং:
    • ই-ভিসা পাওয়ার পর, Nusuk অ্যাপে ওমরাহ্‌ পারমিটের জন্য তারিখ ও সময় বুক করতে হবে।

সময়সীমা: সাধারণত ১-৫ কার্যদিবস। রমজানের মতো ব্যস্ত সময়ে ৭-১০ দিন লাগতে পারে।

ই-ভিসা ফি এবং অন্যান্য খরচ

ওমরাহ্‌ ই-ভিসার খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। ২০২৫ সালের আনুমানিক খরচ (সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে):

  • ভিসা ফি: ১০০-১৫০ মার্কিন ডলার (১১,০০০-১৬,৫০০ টাকা)। 
  • বীমা ফি: ৩০-৫০ মার্কিন ডলার (৩,৩০০-৫,৫০০ টাকা)।
  • এজেন্সি সার্ভিস চার্জ: ৫,০০০-১৫,০০০ টাকা।
  • অন্যান্য: ভ্যাকসিন (১,০০০-২,০০০ টাকা), বায়োমেট্রিক ফি (৫০০-১,০০০ টাকা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • মোট: শুধু ই-ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।

বিমান ভাড়া

বিমান ভাড়া ওমরাহ্‌ যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ খরচ। ২০২৫ সালের আনুমানিক ভাড়া (আনুমানিক):

*বিমান ভাড়া চাহিদার উপর নির্ভর করে ওঠা নামা করে

  • ইকোনমি ক্লাস (রাউন্ড ট্রিপ, ঢাকা-জেদ্দা/মদিনা): ৬০,০০০-৮৫,০০০ টাকা। অফ-পিক সিজনে ৫০,০০০-৬৫,০০০ টাকা।
  • বিজনেস ক্লাস: ১,৫০,০০০-২,৫০,০০০ টাকা।
  • রমজানে: ইকোনমিতে ৮৫,০০০-১,২০,০০০ টাকা, বিজনেসে ২,০০,০০০-৩,৫০,০০০ টাকা।
  • জনপ্রিয় এয়ারলাইনস: বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া, ফ্লাইদুবাই, এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ।

টিপস:

  • ২-৩ মাস আগে বুকিং করলে ১০-২০% কম খরচ হয়।
  • গ্রুপ টিকিটে ছাড় পাওয়া যায়।
  • স্টপওভার ফ্লাইট (দুবাই/দোহা) সাশ্রয়ী হতে পারে।

হোটেল, খাবার এবং গাইডিং-এর খরচ

ওমরাহ্‌ যাত্রার থাকা, খাওয়া এবং গাইডিং-এর খরচ প্যাকেজের ধরন, হোটেলের অবস্থান এবং সময়ের উপর নির্ভর করে। নিচে ২০২৫ সালের জন্য ১৪ দিনের আনুমানিক খরচ দেয়া হলো, এজেন্সি, চাহিদা এবং সুবিধা ভেদে এই খরচ পরিবর্তন হতে পারে। 

  • হোটেল খরচ:
    • ইকোনমি (৩-স্টার): মক্কায় হারাম থেকে ৬০০-১০০০ মিটার, মদিনায় ৩০০-৭০০ মিটার। ৪০,২৫০-৭২,৪৫০ টাকা।
    • স্ট্যান্ডার্ড (৪-স্টার): হারামের কাছাকাছি (৪০০-৫০০ মিটার)। ৮০,৫০০-১,২৮,৮০০ টাকা।
    • প্রিমিয়াম/ভিআইপি (৫-স্টার): হারাম-সংলগ্ন (১০০-২০০ মিটার), যেমন সুইসোটেল আল মাকাম। ১,৬১,০০০-৩,২২,০০০ টাকা।
    • রমজানে: ইকোনমিতে ৫৭,৫০০-৯২,০০০ টাকা।
  • খাবার খরচ:
    • ইকোনমি: প্রতি মিল ৩৫০-৪৫০ টাকা। মোট: ১১,২৭০-১৪,৪৯০ টাকা।
    • স্ট্যান্ডার্ড/প্রিমিয়াম: বুফে ব্রেকফাস্ট বা ২-৩ বেলা খাবার অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত: ৫,৭৫০-১১,৫০০ টাকা।
    • রমজানে: ইফতার ও সাহরির জন্য ১৬,১০০-২৩,০০০ টাকা।
    • মেনু: মাছ/গোস্ত, ভাত, সবজি, ডাল, রুটি, ডিম ইত্যাদি।
  • গাইডিং খরচ:
    • ইকোনমি/স্ট্যান্ডার্ড: গ্রুপ গাইড (মাওলানা) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত: ০-২,৩০০ টাকা।
    • প্রিমিয়াম/ভিআইপি: বাংলা-ভাষী গাইড ২৪/৭, প্রাইভেট জিয়ারত। ৫,৭৫০-১৭,২৫০ টাকা।
    • জিয়ারত: মক্কায় জান্নাতুল মুআল্লা, মিনা; মদিনায় মসজিদে কুবা, জান্নাতুল বাকি।
  • মোট খরচ (থাকা, খাওয়া, গাইডিং):
    • ইকোনমি: ৫১,৫২০-৮৯,২৪০ টাকা।
    • স্ট্যান্ডার্ড: ৮৮,৫৫০-১,৪৬,০৫০ টাকা।
    • প্রিমিয়াম/ভিআইপি: ১,৭২,৫০০-৩,৫০,৭৫০ টাকা।
    • রমজানে: ইকোনমিতে ৬৯,০০০-১,১৫,০০০ টাকা; প্রিমিয়ামে ২,৩০,০০০-৪,৬০,০০০ টাকা।

মোট খরচের হিসাব (ই-ভিসা + থাকা-খাওয়া-গাইডিং + বিমান ভাড়া)

নিচে ১৪ দিনের যাত্রার জন্য জনপ্রতি মোট খরচের হিসাব দেওয়া হলো (মক্কা ও মদিনা সহ, ব্যক্তিগত খরচ ব্যতীত):

*খরচ সব সময় চাহিদা, সিজন, অন্য অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে। এখানে শুধু ধারনা দেয়া হয়েছে। এটা ফাইনাল হিসেব নয়। 

  • ইকোনমি:
    • ই-ভিসা: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।
    • থাকা-খাওয়া-গাইডিং: ৫১,৫২০-৮৯,২৪০ টাকা।
    • বিমান ভাড়া (ইকোনমি): ৬০,০০০-৮৫,০০০ টাকা।
    • মোট: ১,২৬,৫২০-১,৯৯,২৪০ টাকা।
    • অফ-পিক মোট: ১,১৬,৫২০-১,৭৯,২৪০ টাকা।
  • স্ট্যান্ডার্ড:
    • ই-ভিসা: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।
    • থাকা-খাওয়া-গাইডিং: ৮৮,৫৫০-১,৪৬,০৫০ টাকা।
    • বিমান ভাড়া (ইকোনমি): ৬০,০০০-৮৫,০০০ টাকা।
    • মোট: ১,৬৩,৫৫০-২,৫৬,০৫০ টাকা।
  • প্রিমিয়াম/ভিআইপি:
    • ই-ভিসা: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।
    • থাকা-খাওয়া-গাইডিং: ১,৭২,৫০০-৩,৫০,৭৫০ টাকা।
    • বিমান ভাড়া (বিজনেস): ১,৫০,০০০-২,৫০,০০০ টাকা।
    • মোট: ৩,৩৭,৫০০-৬,২৫,৭৫০ টাকা।

রমজানে:

  • ইকোনমি:
    • ই-ভিসা: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।
    • থাকা-খাওয়া-গাইডিং: ৬৯,০০০-১,১৫,০০০ টাকা।
    • বিমান ভাড়া: ৮৫,০০০-১,২০,০০০ টাকা।
    • মোট: ১,৬৯,০০০-২,৬০,০০০ টাকা।
  • প্রিমিয়াম/ভিআইপি:
    • ই-ভিসা: ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা।
    • থাকা-খাওয়া-গাইডিং: ২,৩০,০০০-৪,৬০,০০০ টাকা।
    • বিমান ভাড়া: ২,০০,০০০-৩,৫০,০০০ টাকা।
    • মোট: ৪,৪৫,০০০-৮,৩৫,০০০ টাকা।

নোট: এই খরচে মক্কা ও মদিনা উভয় শহরে থাকা (সাধারণত ৭-৮ দিন মক্কা এবং ৬-৭ দিন মদিনা) অন্তর্ভুক্ত। ব্যক্তিগত খরচ (যেমন শপিং, স্থানীয় ট্যাক্সি, টিপস) এতে যোগ হয়নি। আগাম বুকিং বা গ্রুপ ডিসকাউন্টে খরচ কমতে পারে।

সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক নিয়ম (২০২৫)

  • ই-ভিসার মেয়াদ: ৩০-৯০ দিন।
  • একাধিক ওমরাহ্‌: দ্বিতীয়বার ওমরাহ্‌ করলে অতিরিক্ত ফি (প্রায় ৫৮,০০০ টাকা)।
  • রমজানে সীমাবদ্ধতা: ভিড়ের কারণে পারমিট সীমিত হতে পারে। Nusuk অ্যাপে আগাম বুকিং বাধ্যতামূলক।
  • Nusuk প্ল্যাটফর্ম: ই-ভিসা পাওয়ার পর ওমরাহ্‌ পারমিট এবং মদিনায় রওজা শরীফে নামাজের জন্য পারমিট বুক করতে হবে।
  • হজ মৌসুম: ২০২৫ সালে ওমরাহ্‌ ই-ভিসা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৈধ, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ত্যাগ করতে হবে।

ই-ভিসা পাওয়ার টিপস

  • বিশ্বস্ত এজেন্সি: হাব-অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিন। পূর্ববর্তী গ্রাহকদের রিভিউ দেখুন।
  • আগাম প্রস্তুতি: যাত্রার ১-২ মাস আগে প্রক্রিয়া শুরু করুন, রমজানে ২-৩ মাস আগে।
  • সঠিক তথ্য: ভুল বা জাল তথ্য এড়িয়ে চলুন, এতে ই-ভিসা বাতিল হতে পারে।
  • Nusuk অ্যাপ আপডেট: অ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করুন এবং পারমিট স্লট নিয়মিত চেক করুন।
  • প্রতারণা থেকে সাবধান: ফেক এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকুন।

সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলুন

  • জাল কাগজপত্র: ই-ভিসা বাতিল বা ভবিষ্যতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে।
  • শেষ মুহূর্তে আবেদন: সময় সংকটে পড়তে পারেন।
  • অবিশ্বস্ত এজেন্সি: টাকা ও সময় নষ্ট হতে পারে।
  • পারমিট বুকিং ভুলে যাওয়া: ওমরাহ্‌ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশ সীমিত হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ্‌ ভিসা বিষয়ে কিছু সাধারন প্রশ্ন-উত্তর(FAQ)

১. ওমরাহ্‌ ই-ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

উত্তর: ১-৫ কার্যদিবস, ব্যস্ত সময়ে ৭-১০ দিন।

২. কীভাবে আবেদন করবো?

উত্তর: Nusuk অ্যাপের মাধ্যমে সৌদি-অনুমোদিত এজেন্সির সহায়তায়।

৩. কোভিড-১৯ টিকা কি বাধ্যতামূলক?

উত্তর: না, ২০২৩ থেকে বাধ্যতামূলক নয়, তবে সুপারিশকৃত।

৪. নারীদের জন্য আলাদা নিয়ম কী?

উত্তর: ৪৫ বছরের নিচে নারীদের মাহরাম সঙ্গে যেতে হবে। ১৮-৬৫ বছর বয়সী নারীরা গ্রুপে মাহরাম ছাড়া যেতে পারেন (মাহরামের সম্মতি প্রয়োজন)।

৫. নিজে সরাসরি আবেদন করা যায়?

উত্তর: বাংলাদেশ থেকে শুধু এজেন্সির মাধ্যমে Nusuk অ্যাপে আবেদন করতে হয়।

৬. ই-ভিসা বাতিল হলে টাকা ফেরত পাওয়া যায়?

উত্তর: এজেন্সির নিয়মের উপর নির্ভর করে, সাধারণত ফি ফেরতযোগ্য নয়।

৭. ওমরাহ্‌ পারমিট কীভাবে বুক করবো?

উত্তর: Nusuk অ্যাপে ই-ভিসা নম্বর দিয়ে তারিখ ও সময় বুক করুন।

৮. শিশুদের জন্য নিয়ম কী?

উত্তর: পৃথক ই-ভিসা, পাসপোর্ট, ছবি ও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লাগবে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা পিতামাতার সঙ্গে ওমরাহ্‌ পালন করতে পারে।

৯. মোট খরচ কেমন হবে?

উত্তর: ইকোনমিতে ১,২৬,৫২০-১,৯৯,২৪০ টাকা, রমজানে ১,৬৯,০০০-২,৬০,০০০ টাকা। প্রিমিয়ামে ৩,৩৭,৫০০-৮,৩৫,০০০ টাকা। (খরচ সর্বদা পরিবর্তনশীল) 

ওমরাহ্‌ ই-ভিসা সংগ্রহ আপনার পবিত্র যাত্রার প্রথম ধাপ। Nusuk অ্যাপের মাধ্যমে সঠিক তথ্য, সময়মতো প্রস্তুতি এবং বিশ্বস্ত এজেন্সির সহায়তায় এই প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ। বিমান ভাড়া, হোটেল, খাবার ও গাইডিং-এর খরচ আপনার বাজেট ও পছন্দের ওপর নির্ভর করে। একটু পরিকল্পনা ও সতর্কতার সঙ্গে আপনি এই যাত্রাকে স্মরণীয় করে তুলতে পারবেন।

আল্লাহ আপনার ওমরাহ্‌ কবুল করুন এবং এই ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুন, আমিন।



Share
Comments
কমেন্ট করতে লগইন করুন। লগইন | রেজিস্ট্রেশন

No Data Found