প্যাকেজ

আমাদের প্যাকেজগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যা আপনার প্রয়োজন ও বাজেটের সঙ্গে মানানসই।

প্যাকেজের মেয়াদঃ ৩০-৪৫ দিন। ৩০ দিন ও তার চেয়ে কম মেয়াদের ক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য । আবাসন ব্যবস্থা মক্কাঃ প্রথম ২০-২৫ দিন হারাম শরিফ থেকে ১০০০-১২০০ মিটার দুরত্বে হোটেল। অত:পর মদিনা থেকে ফিরে এসে ১৫০০-১৮০০ মিটার দূরত্বে হোটেল বা ফ্লাট বাড়ি। প্রতি রুমে ৪-৬ জন। আবাসন ব্যবস্থা মদীনাঃ মসজিদে নববীর বাহিরের চত্বর থেকে ৬০০-৮০০ মিটার দূরত্বে হোটেল। প্রতি রুমে ৪-৬ জন। খাবার ম্যানুঃ তিন বেলা উন্নতমানের স্বাস্থ্যসম্মত রুচিশীল দেশী খাবারের সুব্যবস্থা।
অন্তর্ভুক্ত

কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্তর্ভুক্ত নয়

কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বর্ণনা


>> মিনা, আরাফাহ, মুযদালেফার আবাসন ব্যবস্থা <<

মিনাঃ সকল প্যাকেজের হাজীর জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত 'ডি' ক্যাটাগরীর তাবুর ব্যবস্থা থাকবে। তাবু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাবুতে কার্পেট, মেট্রেস্‌, চাদর ও বালিশের ব্যবস্থা থাকবে। আর সৌদী মোয়াল্লেমের ব্যবস্থাপনায় তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে ।


বিঃ দ্রঃ মিনায় 'এ' ক্যাটাগরির মুয়াল্লিম তথা ভিআইপি তাবু নিতে চাইলে প্যাকেজ মূল্যের সাথে অতিরিক্ত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা যুক্ত হবে। 


আরাফাহঃ সকল প্যাকেজের হাজীর জন্য সাধারণ তাবু ও কার্পেটের ব্যবস্থা থাকবে এবং দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে । (পর্যাপ্ত পরিমাণ জুস ও বিভিন্ন পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে)।


মুযদালেফাঃ খোলা আকাশের নিচে নিজ ব্যবস্থাপনায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন ।


>> পরিবহন ব্যবস্থা <<

ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা সৌদী/বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যাতায়াত । জেদ্দা-মক্কা-মদীনা যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদী সরকারের মাঝে চুক্তিকৃত এসি-বাস সার্ভিস থাকবে। হোটেল-মিনা-আরাফাহ্‌- মুযদালেফায় যাতায়াতের জন্য সৌদী মুয়াল্লিম কর্তৃক নির্ধারিত এসি-বাস যোগে যাতায়াত ব্যবস্থা। সুন্নাহ্‌ পালন ও মক্কা মদীনায় দর্শনীয় স্থানসমূহ পরিদর্শনের জন্য কাফেলার পক্ষ থেকে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।


>> বদলী হজ্জ <<

যাদের উপর হজ্জ ফরজ হয়েছে কিন্তু সশরীরে হজ্জে যেতে সক্ষম নন কিংবা মারা গেছেন, তাদের জন্য একাধিক হজ্জের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাদানী আলিমের মাধ্যমে বদলী হজ্জ করানোর সুযোগ রয়েছে।


হজ্জ সফর ও প্যাকেজ মূল্য নিয়ে কিছু বিভ্রান্তী নিরসন এবং আমাদের প্যাকেজ পরিচয়ঃ

আল্হামদু লিল্লাহ্‌ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌ রাব্বুল 'আলামীনের জন্য । সালাত ও সালাম নাযিল হোক ইসলামের যাবতীয় ইবাদত- আমলের ক্ষেত্রে একমাত্র আদর্শ স্বরূপ প্রেরিত নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রতি এবং তার বংশধর, সহচর ও সহধর্মীগনের প্রতি। 

অতঃপর বর্তমান যুগে মুসলিমরা ইসলামকে দুই ভাগে বিভক্ত করে পালন করছেন। গতানুগতিক বা প্রচলিত ইসলাম এবং প্রকৃত ইসলাম। প্রচলিত ইসলাম পালন করতে পড়াশোনা করতে হয় না, বরং অনেকক্ষেত্রে যে যত অজ্ঞ সে তত পন্ডিতী যাহির করে। কিন্তু প্রকৃত ইসলাম পালনকারীকে পড়াশোনা ও যাচাই বাছাই করতে হয়। ইসলামের মতই অবস্থা- এর অর্তভূক্ত যাবতীয় আমল-ইবাদতের। সালাত, যাকাত, সিয়াম ও হজ্জের ক্ষেত্রেও দেখা যায় প্রচলিত ও প্রকৃত অবস্থা । ইসলামের ক্ষেত্রে প্রকৃত বা আসল অবস্থার উপর শতকরা কতজন আছে তা বলা মুশকিল। গোটা জীবনে হজ্জ একবার মাত্র পালন যোগ্য একটি ফরয ইবাদত, অথচ এর ভিতরে গতানুগতিকতা আরো বেশি।

কাউকে বলতে শোনা যায় না যে, সে কোন হজ্জ পালনকারীকে জিজ্ঞাসা করে, কিভাবে হজ্জ পালন করেছেন? বরং সবাই এটাই জিজ্ঞাসা করে থাকে, হজ্জে কেমন ছিলেন, হোটেল কত দূরে ছিল, থাকার-খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন ছিল ইত্যাদি?

মূলতঃ হজ্জ সফরে দু'টি দিক রয়েছে। একটি নিছক বাণিজ্যিক দিক, আর অপর দিকটি হচ্ছে ইসলামিক দিক । বাণিজ্যিক দিকের ক্ষেত্রে চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা । কিন্তু, ইসলামিক ক্ষেত্রে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা নেই। কে কত শুদ্ধ ও সুন্নাহ্‌ পদ্ধতিতে হজ্জ পালন করাতে পারে এ ব্যাপারে কেউ মাথাই ঘামায় না। এক্ষেত্রে 'শতাব্দী এভিয়েশন' অপ্রতিদ্বন্দ্বী একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রায় সমস্ত হজ্জ এজেপী ও কাফিলা প্রতিদ্বন্দিতা করে থাকে বাণিজ্যিক দিক নিয়ে। আর এই বাণিজ্যিক দিক কেউ মেইনটেন করে থাকে উন্নতমানের সেবা তথা উন্নতমানের খাবার থাকার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে । আবার কেউ কেউ তা মেইনটেন করে ধোকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে। যে সমন্ত এজেন্সি/কাফিলা উন্নতমানের সেবা দিয়ে থাকে এবং সেবার ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি ও ওয়াদা খেলাফী করে না- তাদের হজ্জযাত্রীর অভাব নেই। কিন্তু, যারা বাণিজ্যিক স্বার্থে ধোকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে এদের হজ্জযাত্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে 'হাহাকার' দেখা যায়। তাই তারা নানান প্রলোভন, প্রতিশ্রুতি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কম রেটে হাজী সংগ্রহ করে এবং হাজীদের পক্ষ থেকে আরোপিত যে কোন শর্ত শারায়েত, ওয়াদা অঙ্গীকার করে হজ্জে নিয়ে যায়। 

অবশ্য এদের ধোকা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার জন্য হাজীদের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্য দেয়ার প্রবণতাও দায়ী কম নয়। সরকারের পক্ষ থেকে তো বলেই দেয়া হয় নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে যে ব্যক্তি কম টাকা দেবে সে হজ্জে যেতে পারবে না। এমনকি কমরেটের হাজীদের কারণে যারা সরকার ঘোষিত পূর্ণ রেট প্রদান করে এদের সাথে হজ্জে যায়, কম রেট ওয়ালাদের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে যেয়ে এদের সেবার মান ও কম রেট ওয়ালাদের সেবার মান সমান হয়ে যায়। তখন সৃষ্টি হয় সমস্যা ও তিক্ততা ৷ যে সমস্ত হজ্জ এজেন্সী ধোকা ও প্রতারণামুক্ত উন্নত সেবা দিয়ে থাকে তারা বেশি রেট দিলেও সুন্নাহ্‌ মোতাবেক হজ্জ পালন করার শর্তে হাজী নিতে আগ্রহী নয়। কারণ, এই ধরনের হাজী নিলে তাদের জন্য বাড়তী ঝামেলা হয়ে যায়। তবে যাদের হাজী পাওয়ার ক্ষেত্রে সংকট থাকে, তারা রেট বেশি দিলে (নিজে সুন্নাহ্‌ না বুঝলেও) সুন্নাহ্‌ মোতাবেক হজ্জ পালন করাতে সহজে রাজী হয়ে যায়। কিন্তু, তারা বাস্তবে এরূপ হাজীদের সাথেও প্রতারণা করতে ছাড়ে না।

জেনে রাখবেন, সেবার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যৃতি হলে বা এজেন্সী/কাফিলার কথার হের-ফের হলে এক্ষেত্রে যে যত ধৈর্যধারণ করতে পারবে,পরকালীন দিক থেকে সে তত লাভবান ও সফলকাম হবে কিন্তু সুন্নাহ্‌র ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি ও বিলুপ্তি-বিকৃতি ঘটলে ধৈর্য্যধারণ কল্যাণ জনক নয়। এ ক্ষেত্রে সবুর করা সওয়াব নষ্টকারী এবং হজ্জকে ত্রুটিপূর্নকারী। তবে হ্যাঁ, একান্তই কেউ যদি নিরুপায় ও বাধ্য হয় সেটা ভিন্ন কথা।


শতাব্দী এভিয়েশনের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট সমুহঃ

হজ্জ যাতে মাবরূর (আল্লাহর নিকটে গ্রহনযোগ্য) হয়-এর উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা।

পুরোপুরি নবী (সাঃ)-এর সুন্নাহু মোতাবেক বিশুদ্ধভাবে হজ্জ, “উমরাহ্‌ ও যিয়ারাহ্‌ পালন করানো।

হজ্জ যাত্রীরা শির্ক-বিদআ'ত সহ যে সমন্ত ভুল-ত্রুটি করেন সে সমস্ত ভূল ত্রুটি মুক্তভাবে হজ্জ পালন করানো।

সমস্ত হজ্জ যাত্রীদেরকে প্রশিক্ষিত করে হজ্জে নিয়ে যাওয়া । (এর জন্য সেমিনার, প্রশিক্ষণ, গ্রন্থ ও গাইড প্রদান এবং সঙ্গে নিয়ে হজ্জ পালন করানো)

হজ্জ সফরে দ্বীনের সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে ফিরিয়ে আনা। (এর জন্য নির্ভরযোগ্য ও নামকরা আলেমগণকে দাওয়াত দিয়ে এনে বক্তব্য প্রদান করা হয়)

যে মানের সেবা ও সুবিধা প্রদানের আশ্বাস/প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় বাস্তবে আমরা তার চেয়ে বেশী দেয়ার চেষ্টা করি।

শুধু সেবা নয়, সেবা ও সুন্নাহর মাঝে অপূর্ব সমন্বয় সাধন করা।


'শতাব্দী এভিয়েশনে'র তত্ত্বাবধানে হজ্জ পালনের জন্য কতিপয় শর্তঃ

সুন্নাহ মোতাবেক হজ্জ পালনের গুরুত্ব বুঝেন এমন ব্যক্তি কেবল আমাদের কাফেলার সাথে হজ্জ পালন করতে পারবেন ।

মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা অথবা বেগানা মহিলার মাহরাম সেজে কোন পুরুষ আমাদের কাফিলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।

আমাদের কাফিলার বৈশিষ্ট্য, শর্তাবলী ও প্যাকেজ পরিচয় ও মূল্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

আমাদের প্যাকেজমূল্যের সাথে অন্য কোন কাফেলা/এজেন্সীর প্যাকেজমূল্যের তুলনা করা যাবে না।

যিনি ইতিপূর্বে নিজের ফরজ হজ্জ করেননি এমন ব্যক্তি বদলী হজ্জের জন্যে আমাদের কাফেলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।

একাধিক দালাল বেষ্টিত হজ্জযাত্রী আমরা গ্রহণ করি না।

প্রত্যেক হজ্জ যাত্রীর নূন্যতম একটি প্রশিক্ষন প্রোগ্রামে স্বশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক ।

সেবা ও সুন্নাহ্‌ মাঝে পার্থক্য বুঝেন না- এমন হজ্জ যাত্রী আমাদের কাফিলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।


সেবা বলতে যা বুঝায়ঃ

প্যাকেজ অনুযায়ী আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আবাসন, পরিবহন, খানা-খাদ্য, চিকিৎসা, সুবিধা-অসুবিধা দেখা ও খোঁজ খবর নেয়া। আর সেবার ক্ষেত্রে উন্নত ও অনুন্নত নির্ণয় বা স্থির করা এবং সকল হাজীর পুরোপুরি সন্তুষ্টি অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। কারণ বর্তমানে হজ্জের ক্ষেত্রে ৫,৭৮,০০০/- থেকে ১৬,০০,০০০/- টাকা মূল্যের সেবার ব্যবস্থা রয়েছে ।


সুন্নাহ্‌ বলতে যা বুঝায়ঃ

সুন্নাহ্‌ বলতে ফরজের বিপরীত সুন্নাহ্‌ নয়, বরং নবী (সাঃ) এর পথ ও পন্থা। অর্থাৎ নবী (সাঃ) যে পন্থা ও পদ্ধতিতে হজ্জ করেছেন বা করতে বলেছেন বা অনুমতি দিয়েছেন এর ভিতর কোন আগ-পিছ বা কোন হের-ফের এবং বিকৃতি ও বিলুপ্তি না ঘটিয়ে ঠিক সেইভাবে হজ্জ পালনের চেষ্টা করা।

পরিপূর্ন সুন্নাহ মোতাবেক হজ্জ-ওমরাহ্‌ পালনে আপনার পাশে আছে “শতাব্দী এভিয়েশন”। আল্লাহ আপনার হজ্জ কে কবুল করুক, আমিন...

ভ্রমণসূচি


কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গ্যালারি


কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
0.0 (0 reviews)

Clients Reviews

হজ বুকিং

শুরু তারিখ:
June 7, 2025
শেষ তারিখ:
July 22, 2025
Booking Deadline:
September 27, 2025

No More Accepting Booking
20
Total Seats
0
Booked
20
Available
যোগাযোগ করুন

Cart

Cart is empty