ব্লগ

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, সঠিক নিয়ম-কানুন এবং ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির সাথে সাথে বিভিন্ন পবিত্র স্থানের ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থানসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে এখানে।

Blog Details
উমরাহ্‌ পালনে সওয়াবের পাল্লা ভারী আর খরচের পাল্লা হালকা করবেন যেভাবে

ভাবুন তো…

আপনি হারাম শরীফের ভেতরে দাঁড়িয়ে, চোখে চোখে কাবার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাওয়াফের ভিড়ে মানুষের কান্না, দোয়া আর তাসবিহের আওয়াজ মিলে এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি করেছে। এই সফর— হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে বরকতময় যাত্রা, যেখানে সওয়াবের পাল্লা ভারী হবে, আর খরচের পাল্লা হবে হালকা।

 

আপনার বয়স যদি হয় ৫০-এর নিচে, শরীর ভালো থাকে এবং মন ভরা থাকে ইবাদতের তৃষ্ণায়। তাহলে এই প্ল্যান আপনার জন্য হতে পারে একদম পারফেক্ট।

 

এবার ১৪ দিনের উমরাহ্‌ পরিকল্পনায় আসা যাক- ফ্লাইট থেকে নেমে সরাসরি মক্কা শরীফে গিয়ে উমরাহ্‌ আদায় করলেন। ইবাদতের প্রশান্তি নিয়ে হোটেলে ফিরলেন রেস্ট করতে। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি শেষে রাতটা নামাজ ও বিশ্রামে কাটালেন। পরদিন ভোরে তাহাজ্জুত, ফজর, তারপর সকালের নাস্তা— কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর গোসল এবং লাঞ্চ সেরে যোহরের জন্য চলে গেলেন হারাম শরীফে। সাথে কোরআন, হাদিস বা তাফসিরের বই। আপনার টার্গেট? ১৪ দিনে কোরআন খতম করা বা অন্তত ১০০টি হাদিস মুখস্থ করা।

একভাবে মদিনাতে প্ল্যান করবেন...

 

প্রতিদিন যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশার নামাজ হারামে আদায় শেষে একবারে হোটেলে ফিরবেন। মাগরিবের পর রাতের খাবার হারামের আশেপাশেই খেয়ে নেবেন, যাতে সময় বাঁচে। ফাঁকা সময় শুধু ইবাদত— নফল সালাত, তাওয়াফ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির। এভাবে হোটেলে যাতায়াত কম হবে, তাই হোটেল হারাম থেকে একটু দূরেও নিতে পারেন— যেমন মক্কায় ১২০০-১৩০০ মিটার দূরে, মদিনায় ৭০০-৮০০ মিটার দূরে। এতে হোটেল খরচ কমে যাবে, কিন্তু ইবাদতের সময় মোটেও কমবে না।

 

যেদিন জিয়ারাহ্‌ হবে, সেদিন সফর শেষে আবার আগের রুটিনে ফিরে আসবেন। এভাবে ১৪ দিন কাটালে মক্কা-মদিনায় কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে উঠবে অর্থবহ ও বরকতময়।

 

আপনি যদি এমনই একটি ইবাদতমুখী কাফেলার সঙ্গী হতে চান, তাহলে শতাব্দী এভিয়েশনের সেপ্টেম্বরের উমরাহ্‌ কাফেলায় যোগ দিন। আমাদের সাথে থাকবেন সার্বক্ষণিক গাইড মুফতি আশিকুর রহমান, যিনি আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সহায়তা করবেন। 

প্যাকেজের বিস্তারিত দেখুন: 🔗 উমরাহ্‌ প্যাকেজ পেইজে

 

আমরা উমরাহ্‌র আগে ভাবি— কোথায় থাকব, কী খাব, কোথায় ঘুরব। কিন্তু যদি এই সফরের উদ্দেশ্য হয় আল্লাহকে খুশি করা, তাহলে প্রথমেই ভাবতে হবে— “আমি কিভাবে ইবাদতের সময় সর্বোচ্চ বাড়াবো?” যখন এই প্রশ্নের উত্তর বের হবে, তখন হোটেল, খাবার, যাতায়াত— সবকিছুই নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।

 

সারা জীবন উপার্জন করেছি পরিবারকে খুশি করতে, সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে। কিন্তু এই একবার— কেন না পুরো সফরটা উৎসর্গ করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য? হয়তো এই সফরই হবে আমাদের জীবনের সবচেয়ে পবিত্র বিনিয়োগ— যেখানে লাভ শুধু আখিরাতেই নয়, মনেও পাওয়া যাবে অপার শান্তি।

 


Share
Comments
কমেন্ট করতে লগইন করুন। লগইন | রেজিস্ট্রেশন

No Data Found
Cart

Cart is empty