মীকাত শব্দের অর্থ হলো নির্দিষ্ট স্থান বা সীমারেখা। ইসলামে হজ ও উমরাহ পালনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখান থেকে ইহরাম বাঁধা বাধ্যতামূলক। যে কেউ মক্কায় প্রবেশ করে হজ বা উমরাহ করতে চাইলে তাকে এই মীকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম ধারণ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত
হাজীদের জন্য পাঁচটি মীকাত নির্ধারণ করেছেন, যা নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা
হলো।
১. যুল-হুলায়ফা (আবিয়ার আলী) – মদীনাবাসীদের জন্য
২. আল-জুহফাহ – সিরিয়া, মিসর ও উত্তর আফ্রিকার লোকদের
জন্য
৩. ইয়ালামলাম – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের
হাজীদের জন্য
৪. কারনুল মানাযিল (সাইল আল-কাবির) – নাজদ ও উপসাগরীয়
দেশগুলোর জন্য
৫. যাতু ইরক – ইরাক, ইরান ও পূর্ব দিক থেকে আসা হাজীদের
জন্য
বাংলাদেশ থেকে উমরাহ করতে গেলে কোন মীকাত প্রযোজ্য?
বাংলাদেশ থেকে যারা বিমানে উমরাহ করতে যান, তাদের জন্য
সাধারণত "কারনুল মানাযিল" মীকাত নির্ধারিত।
✈ বিমানে যাত্রা করলে:
🚢 সমুদ্রপথে গেলে:
মীকাতের ভেতরে বসবাসকারীদের জন্য ইহরাম বাঁধার নিয়ম
যারা মক্কার আশেপাশে (হারামের বাইরে) বসবাস করেন, তারা নিজ
নিজ অবস্থান থেকেই ইহরাম বাঁধতে পারেন। তবে যারা মক্কার ভেতরে বসবাস করেন এবং
উমরাহ করতে চান, তাদের হারামের বাইরে গিয়ে ইহরাম বাঁধতে হবে। সাধারণত তারা "তানঈম
(মসজিদে আয়েশা)" থেকে ইহরাম বাঁধেন।
মীকাত হলো ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা মেনে
চলা আবশ্যক। কেউ যদি ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করেন, তবে তাকে একটি "দম"
(একটি পশু কোরবানি) দিতে হবে। তাই উমরাহ বা হজ করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মীকাত
সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত।
বিমানে ভ্রমণের সময়
যাতে মীকাত পার হয়ে না যায়, সেজন্য বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়ার আগেই ইহরামের
প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে উমরাহ ও হজ পালনের তাওফিক দান
করুন—আমিন! 🤲