উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম ও অন্যতম শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র বা ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা (USA)। এই দেশের ইতিহাস বেশ প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। ১৪৯২ সালে ইতালীয় নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন। তবে দেশটির নামকরণ করা হয় ইতালীয় মানচিত্রবিদ আমেরিগো ভেসপুচির নাম অনুসারে।
এক নজরে যুক্তরাষ্ট্র
- সরকারি নাম: ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা
- রাজধানী: ওয়াশিংটন, ডিসি
- স্বাধীনতা ঘোষণা: ৪ জুলাই ১৭৭৬
- মোট আয়তন: ৯,৮২৬,৬৭৫ বর্গকিলোমিটার (৩,৭৯৪,১০০ বর্গমাইল)
- সীমান্তবর্তী দেশ: কানাডা ও মেক্সিকো
- মোট জনসংখ্যা: প্রায় ৩১৮.৮৮ মিলিয়ন
- মুদ্রা: মার্কিন ডলার (USD)
- অঙ্গরাজ্য: ৫০টি
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইমিগ্রেশন ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসাগুলোর মধ্যে কিছু খুব জনপ্রিয় এবং বহু মানুষ এই সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করেন। সাধারণত পাঁচ ধরনের ইমিগ্রেশন ভিসা রয়েছেঃ
- পারিবারিক ভিত্তিক অভিবাসন (Family-Based Migration): আমেরিকান নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দারা তাদের পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারেন।
- বিবাহ ভিত্তিক ভিসা (Fiancé(e) Visa): কোনো মার্কিন নাগরিক তার বাগদত্তা বা বাগদত্তীকে (fiancé/fiancée) আমেরিকায় নিয়ে আসার জন্য এই ভিসার আবেদন করতে পারেন।
- কর্মসংস্থান ভিত্তিক অভিবাসন (Employment-Based Immigration): দক্ষ কর্মী, বিনিয়োগকারী বা নির্দিষ্ট পেশার লোকদের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়।
- ডাইভারসিটি ভিসা (Diversity Visa - DV Lottery): বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য প্রতি বছর লটারি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়।
- রিটার্নিং রেসিডেন্ট ভিসা (Returning Resident Visa): যেসব স্থায়ী বাসিন্দা দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিলেন এবং পুনরায় ফিরে যেতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হলো Family-Based Migration। যদি আপনি একজন মার্কিন নাগরিক হন, তবে আপনার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, দুই ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক বিবেচনা করা হয়:
ইমিডিয়েট রিলেটিভস (Immediate Relatives):
- স্বামী/স্ত্রী
- পিতা-মাতা
- অবিবাহিত সন্তান (২১ বছরের নিচে)
এই ক্যাটাগরির ভিসা দ্রুত অনুমোদন পায়, কারণ এখানে বার্ষিক কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
ফ্যামিলি প্রেফারেন্স (Family Preference):
- প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান
- ভাই-বোন
- অন্যান্য আত্মীয়
এই ক্যাটাগরিতে বার্ষিক নির্দিষ্ট কোটার কারণে অনেক সময় ১০-১২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
তবে সে ক্ষেত্র উল্লেখ থাকে এখানে দু-ধরনের সম্পর্ক বিবেচনা করা হয়। প্রথমত ইমিডিয়েট রিলিটিভ যারা খুব কাছের পরিবারের লোক যেমন- স্বামী বা স্ত্রী, মা ও বাবা আর ছেলে ও মেয়ে । আর দ্বিতীয়টি হলো ফ্যামেলি প্রেফারেন্স অর্থাৎ যারা একটু দূরের আত্মীয় যেমন ভাই, বোন সহ অন্যান্য আত্মীয় তাদেরও সহজেই নিতে পারবেন। তবে এই ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে যেহেতু বছরে নির্দিষ্ট সীমা আছে তাই দেখা যায় প্রতিবছর প্রচুর পেন্ডিং থাকে তাই অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ বছর সময় লেগে যায়।
কিন্তু আপনারা যদি স্পাউস ও পিতা মাতার জন্য আবেদন করেন তবে তা খুব তাড়াতাড়ি ভিসা পাওয়া যায়। আর এই ধরনের ভিসার জন্য কোন লিমিটেশন নেই৷ তবে আপনি যদি আমেরিকার পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন অর্থাৎ ইমিগ্রেশন ভিসা পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তবে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পরিবারের লোক জনের জন্য আবেদন করে ফেলুন যেহেতু এটা প্রসেসিং করার জন্য লম্বা একটি সময় লেগে যায়। তাই দেরি করা ঠিক হবেনা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিট ভিসা: বি-১ ও বি-২ ভিসার বিস্তারিত তথ্যঃ
যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য যে ভিসাগুলো প্রদান করা হয়, তার মধ্যে বি-১ ও বি-২ ভিসা অন্যতম। এই দুই ধরনের ভিসা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
বি-১ ভিসা (ব্যবসায়িক ভিসা)
ব্যবসায়িক কাজে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বি-১ ভিসা প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত নিচের কারণে ব্যবহৃত হয়—
- ব্যবসায়িক মিটিং বা চুক্তি সম্পাদন
- কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণ
- নতুন ব্যবসার সম্ভাব্যতা যাচাই
বি-২ ভিসা (পর্যটন ও চিকিৎসা ভিসা)
যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে অবকাশযাপন, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, চিকিৎসা গ্রহণ অথবা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চান, তাহলে বি-২ ভিসা নিতে হয়।
ভিজিট ভিসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা ও শর্তাবলী
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট (INA) অনুসারে, প্রতিটি আবেদনকারীকে এই ভিসার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রাথমিকভাবে ধরে নেয় যে প্রত্যেক আবেদনকারী অভিবাসনের উদ্দেশ্যে আবেদন করছে। তাই আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তার সেখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে আসার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ভিসা পেতে যেসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবেঃ
স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা আবেদন করাঃ
- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের উদ্দেশ্য ও সময়সীমা বাস্তবসম্মত হতে হবে।
- অযথা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করলে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
ভালো ভ্রমণ হিস্ট্রিঃ
- পূর্বে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের রেকর্ড থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর (যেমন ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া) ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে তা সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশে শক্তিশালী আর্থিক ও পেশাগত ভিত্তিঃ
- ভালো বেতনের চাকরি বা সফল ব্যবসা থাকলে এটি একটি ইতিবাচক দিক।
- নিজ দেশে স্থায়ী সম্পত্তি বা বিনিয়োগ থাকলে সেটিও আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক সচ্ছলতাঃ
- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকা জরুরি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকা উচিত, যাতে তারা বুঝতে পারে যে আপনি সেখানে গিয়ে খরচ সামাল দিতে পারবেন।
ভিসা ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাসী উপস্থাপনাঃ
- ইন্টারভিউয়ের সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
- যুক্তরাষ্ট্রে অযথা বসবাস করার ইচ্ছা নেই, এটি প্রমাণ করতে হবে।
- আপনার দেশে ফিরে আসার যথেষ্ট কারণ রয়েছে—এটি বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সঠিক ও সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। নিচে আপনার ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা উল্লেখ করা হলো—
ডিএস-১৬০ ফরমঃ
- এটি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম। এই ফরমের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে এবং কনফারমেশন পৃষ্ঠা প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে।
বৈধ পাসপোর্টঃ
- পাসপোর্টের ন্যূনতম মেয়াদ ১ বছর থাকতে হবে।
- আপনার ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবিঃ
- ছবি হতে হবে ২”×২” (৫ সেমি × ৫ সেমি) মাপের।
- ছবিটি সাম্প্রতিক, পরিষ্কার ও সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা হতে হবে।
ভিসা ফি প্রদানের রসিদঃ
- আবেদনকারীর ভিসার জন্য পরিশোধিত ফি জমার রসিদ প্রিন্ট করে অফিসে জমা দেওয়া।
ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ
- নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাংক লেনদেনের বিবরণী (সাধারণত ৬ মাসের) জমা দিতে হয়।
- ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ যথেষ্ট হতে হবে, যা আপনার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের খরচ বহনের সক্ষমতা প্রমাণ করবে।
চাকরিজীবীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC): আপনার অফিস বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অনুমতিপত্র, যাতে উল্লেখ থাকবে যে আপনার ছুটি অনুমোদিত হয়েছে এবং আপনি নির্ধারিত সময়ে কাজে ফিরবেন।
- বেতন সনদপত্র (Salary Certificate): এটি আপনার মাসিক আয়ের প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স (প্রমাণ হিসাবে ব্যবসায়ের বৈধ কাগজপত্র)।
- অফিসের প্যাডে লেখা চিঠি, যাতে আপনার ব্যবসার বিবরণ থাকবে।
- ব্যাংক লেনদেনের হিসাব, যা আপনার আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
স্পন্সর থাকলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- যদি কেউ আপনার ভ্রমণের স্পন্সর হয়, তাহলে তার থেকে পাওয়া স্পন্সরশিপ লেটার ও আর্থিক নথি জমা দিতে হবে।
ভ্রমণ পরিকল্পনা ও কভার লেটারঃ
- আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও বিস্তারিত পরিকল্পনা উল্লেখ করে একটি কভার লেটার জমা দিতে হবে। এই চিঠিতে আপনার ভ্রমণের কারণ, সম্ভাব্য সময়সীমা ও থাকার স্থান সম্পর্কে তথ্য থাকতে হবে।
অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
- চিকিৎসার জন্য গেলেঃ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও মেডিকেল রিপোর্ট।
- পরিবার বা বন্ধুর আমন্ত্রণে গেলেঃ আমন্ত্রণপত্র ও আমন্ত্রণকারীর আইডি বা পাসপোর্টের কপি।
- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু করা অধ্যয়ন সনদ ও ছুটির অনুমতি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিসার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। আপনার আর্থিক সামর্থ্য, পেশাগত অবস্থান ও ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের স্বপ্ন সফল হতে পারে।
ইউএসএ ভিসার জন্য সঠিকভাবে আবেদন করে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহন করতে হলে নন্মোক্ত ধাপগুলো অনুসরন করতে হবে।
১ম ধাপঃ নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ করা
- প্রথম ধাপে আপনাকে ডিএস-১৬০ (DS-160) অনলাইন আবেদন ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
- সঠিক তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক— ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
- ভিসা ইন্টারভিউয়ের সময় এই ফরমের তথ্য যাচাই করা হবে, তাই নিশ্চিত হন যে আপনার উত্তর ও কাগজপত্রের তথ্য মিল আছে।
- সব তথ্য পূরণের পর ফরমটি সাবমিট করে কনফার্মেশন পৃষ্ঠা সংরক্ষণ করুন।
২য় ধাপঃ ভিসা ফি পরিশোধ করা
- ফরম পূরণের পর নির্ধারিত ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
- ফি পরিশোধের পর প্রাপ্ত রসিদটি সংরক্ষণ করুন, কারণ আবেদন জমা দেওয়ার সময় এটি জমা দিতে হবে।
৩য় ধাপঃ সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করা
- ফি জমা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নম্বর ও পেমেন্ট রসিদের তথ্য দিয়ে লগইন করুন।
- এরপর দেখুন আপনার সাক্ষাৎকারের তারিখ ও সময় নির্ধারিত হয়েছে কি না।
- নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা কনস্যুলেটে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ইন্টারভিউঃ সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুতি ও পরামর্শ
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় সাক্ষাৎকার (ইন্টারভিউ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। অনেক দেশের ক্ষেত্রে কাগজপত্রের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হলেও, যুক্তরাষ্ট্রে আপনার ইন্টারভিউ পারফরম্যান্সই ভিসা অনুমোদনের মূল চাবিকাঠি। তাই এই ধাপে যথাযথ প্রস্তুতি না নিলে, প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট থাকার পরেও ভিসা প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। অনেকেই ভালো স্পন্সর বা শিক্ষাবৃত্তি (Scholarship) পাওয়ার পরেও ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাসের অভাব ও ভুল উপস্থাপনার কারণে ভিসা পান না। তাই সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে এবং নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থাপন করতে পারলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।
এখানে আমরা ভিসা ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করবো—
- ইন্টারভিউয়ের পূর্বপ্রস্তুতি
- ইন্টারভিউ চলাকালীন করণীয়
ইন্টারভিউয়ের পূর্বপ্রস্তুতিঃ
- আপনার সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সুন্দরভাবে গুছিয়ে ফাইলে রাখুন।
- পোশাক ও ব্যক্তিগত প্রস্তুতিঃ ভিসা ইন্টারভিউয়ের দিন সুশৃঙ্খল ও পরিপাটি পোশাক পরুন। অফিসিয়াল বা ফরমাল পোশাক বেছে নিন। চুল, দাড়ি বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন, যাতে আপনি আত্মবিশ্বাসী দেখান। আপনার শরীরী ভাষা যেন আত্মবিশ্বাস ও শিষ্টাচার প্রকাশ করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- ইন্টারভিউয়ের আগের রাতে ভালো ঘুমানোর চেষ্টা করুন, যাতে আপনি সজীব ও আত্মবিশ্বাসী থাকেন।
- অযথা দুশ্চিন্তা না করে প্রার্থনা করুন ও ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন।
- ইন্টারভিউয়ের দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে দূতাবাসে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করুন।
- সম্ভব হলে নিজের গাড়ি ব্যবহার করুন অথবা নির্ভরযোগ্য বাহন ভাড়া করে নিন, যাতে যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়।
ইন্টারভিউ চলাকালীন করণীয়
আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা
- ইন্টারভিউয়ের সময় চিন্তামুক্ত ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন।
- হাসিখুশি থাকুন এবং চোখে চোখ রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিন।
- সংক্ষেপে, পরিষ্কারভাবে ও সত্যতা বজায় রেখে উত্তর দিন।
প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া
- কর্মকর্তারা সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন—
- আপনি কেন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান?
- আপনার ভ্রমণের খরচ কে বহন করবে?
- আপনার কাজ বা পড়াশোনার বর্তমান অবস্থা কী?
- আপনি কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসবেন? কীভাবে প্রমাণ করবেন?
- মিথ্যা তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ কর্মকর্তারা আপনার তথ্য আগেই যাচাই করে থাকেন।
সংযত আচরণ বজায় রাখা
- অযথা কারও সঙ্গে কথা বলবেন না এবং অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না।
- আপনার শরীরী ভাষা যেন আত্মবিশ্বাস ও ভদ্রতা প্রকাশ করে।
- যদি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যান, তবে তাদেরও সুশৃঙ্খল ও পরিষ্কারভাবে প্রস্তুত করুন।
মনে রাখবেন, কর্মকর্তারা আপনাকে ভিসা না-ও দিতে পারেন, তবে এটি কোনো শাস্তি বা অপমানের বিষয় নয়। যথাযথ প্রস্তুতি নিলে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারভিউ দিলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। সফলতার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিন ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন!
Required Documents
The following documents are required for ইউ এস এ টুরিস্ট ভিসা প্রসেস Processing:
- Original passport with at least 6 months validity from arrival in the USA.
- Ensure the passport has at least two blank pages.
- If available, submit previous passports.
- Applicants must provide a current passport-size white background photograph. It must be the same size as per the embassy instructions, a photo. The photo can't be older than six months.
- Original bank statement for the last 6 months.
- Bank solvency certificate with a minimum balance of BDT 10,00,000 per person.
- Both documents should be stamped and signed by the bank.
For Business Owners:
- Copy of the trade license (translated into English).
- Cover letter on company letterhead detailing the purpose of
For Employees:
- No Objection Certificate (NOC) from the employer on company letterhead.
- Recent pay slips or salary certificates.
For Students:
- Student ID card copy.
- NOC from the educational institution.
- Confirmed hotel reservations or accommodation details in the USA.
- Copy of round-trip flight bookings or itinerary.
For Married Applicants:
- Marriage certificate copy.
For Children:
For Dependents:
- Financial sponsorship letter from the sponsor along with their bank statements and occupation proof.